(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেতে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে। আজ সোমবার ঈদের টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনে দেওয়া হচ্ছে ২৯ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ সোমবার চট্টগ্রামে টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। তিনি বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই টিকিট পেয়েছেন আজ। তবে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এটির ক্রাইসিস ছিল বেশি, ২৯ তারিখ থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে দু’টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এসব ট্রেনের টিকিটও আজ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনে সব মিলে মোট ৭ হাজার সিট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে ৩ হাজার ৫০০ টিকিট। বাকি টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। স্টেশন ম্যানেজার বলেন, টিকিটের কালোবাজারি এড়াতে যাত্রীদের এনআইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এনআইডি দেখিয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। টিকিটের কার্যক্রম সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশনে পুলিশ, আরএনবিসহ নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা কাজ করছে। যাত্রার দিন ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি যোগ করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি। হামিদুল ইসলাম ঈদ উপলক্ষে পরিবার নিয়ে যাবেন আখাউড়া। তিনি বলেন, ভিড় হবে ভেবে ফজরের নামাজের পরই লাইনে চলে আসি। তাই মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পেয়েছি। দেরি করলে সেটা হাতছাড়া হয়ে যেত। ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছিলেন মোহাম্মদ সোহেল। কিন্তু ২৯ তারিখের টিকিট পাননি তিনি। সোহেল মাহমুদ বলেন, কাউন্টারে পৌঁছার আগেই শুনি ট্রেনের টিকিট শেষ। দুই ঘন্টার মতো দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পেলেম না। আগামীকাল আবারও চেষ্টা করব। এবার ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশী নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা কাউন্টার করা হয়েছে। তবে সেই কাউন্টারে ধীরগতিতে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিকিটপ্রত্যাশী শারমিন আক্তার বলেন, স্টেশনের ১ নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাস টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু নারীদের থেকে রেলওয়ে পাসের টিকিট বেশি দেওয়া হচ্ছে। ফলে টিকিটের লাইন এগুচ্ছে না। তাই ভোর ৬টায় এসেও সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কাউন্টারের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনের ১ নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাস টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলি ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।