,

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে চলছে দূরপাল্লার পরিবহন

এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম : ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। মহাসড়কে রাতে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু দিনে পুরো সড়কই ফাঁকা থাকছে। বুধবার রাতে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই মহাসড়কেই যানবাহনের কোন চাপ নেই। দিনের বেশীরভাগ সময়েই মহাসড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন কম চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করেছে নিবিঘেœ। যাত্রীবাহী গণপরিবহনের চাপ ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ছোট-বড় সকল প্রকার ২৫ হাজার ৪৫০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৮০০ টাকা। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের যাতে ভোগান্তি না পোহাতে হয় সে জন্য ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। এবার ঈদে গাড়ির চাপ বেশি থাকলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ওয়ান ওয়েতে যানবাহন চলাচল করবে। শুধু উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের জন্য সড়কের এ অংশটি বরাদ্দ থাকবে। ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা প্রবেশ করবে। এতে করে যানজট অনেকটা কমে যাবে। এছাড়া ঈদে মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের যাতে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য জেলা, হাইওয়ে, থানা ও এপিবিএনের ৮১০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মির্জাপুরের ধেরুয়া থেকে ঘারিন্দা পর্যন্ত এক নম্বর সেক্টর, ঘারিন্দা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত দুই নম্বর সেক্টর, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত তিন নম্বর সেক্টর এবং এলেঙ্গা থেকে কালিহাতী লিংক রোড ও ভূঞাপুর লিংক রোড পর্যন্ত চার নম্বর সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। সড়কে দায়িত্ব পালন করা সদস্যরা চারটি সেক্টরে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও যানজটে সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসনের জন্য কাজ করে যাবেন। এছাড়াও দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো যাতে তাৎক্ষণিক সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন তারা। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প¬াজার কাছে গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার একমুখী (ওয়ানওয়ে) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে। পুলিশ সুপার আরও জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়লে মহাসড়কের পাশে পেট্রোলপাম্প, হোটেল রেস্তোরাগুলোতে যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের পাশে পাম্প, রেঁস্তোরা নেই। তাই ওই অংশে ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ইফতার ও সেহরিতে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়া মানুষের মাঝে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


More News Of This Category