,

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে ৯টি ফেরি, ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে

এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম :  ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট চলাচল করছে। দুটি নৌরুটে আজ সকাল থেকে ছোট-মাঝারি আকারের ৯ টি ফেরি চলাচল করছে। তবে আজ রো-রো ফেরি এনায়েতপুরীর বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে সকাল সাড়ে ৬ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচলরত স্পিডবোটে ১৫০ ও লঞ্চে ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নৌপথে ক্রমেই বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির সঙ্গে এবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু হওয়ায় যানবাহন পারাপারে গতি বেড়েছে। দিনে ৯টি ফেরি চলাচল করছে এবং রাতে চলাচল করছে ৬টি ফেরি। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি (সাত্তার মাদবর) ঘাটে নতুন আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন ঘাটটিতে যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করছে। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘœ করতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া ও ফেরি কুমিল্লা মোট ছয়টি ফেরি ২৪ ঘণ্টাই চলছে। আর ফেরি কর্ণফুলী, রায়পুরা ও রাণীগঞ্জ শুধু দিনে চলাচল করছে। বৃহ¯পতিবার শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে আসতে শুরু করেন। পরে তারা ফেরি বা লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। কর্মস্থল ছুটির পর ঘাটে চাপ বাড়তে পারে আরো কয়েকগুণ। সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটে পার্কিং ইয়ার্ডে ব্যক্তিগত শতাধিক গাড়ির সারি। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় সংখ্যা অনেকটাই কম। পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি দিয়ে এসব ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। লঞ্চ ও ¯িপডবোট ঘাটে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় অব্যাহত রয়েছে। যা বুধবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক জিয়াউল হায়দার জানান, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে গত তিনদিন ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ভোর থেকেই ঘাটে ছোট গাড়ি ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটের সংযোগ সড়কগুলো গাড়িতে পূর্ণ থাকে। তবে দুপুরের পর কিছুটা চাপ কমতে থাকে। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘাটে ছোট ও মাঝারি আকারের ৯টি ফেরি চালু রয়েছে। রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী নামে আরো একটি ফেরি আজকে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নয়টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে রাতের বেলায় দুটি ডাম্ব (টানা) ফেরি ও একটি ছোট ফেরি বন্ধ রাখা হবে। শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, গত চারদিন ধরে ঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। দু-একদিনের মধ্যে এ চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তবে নিরাপদে যাত্রী পারাপারের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে তাদের। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার নৌপথে ৬৫টি ও শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি পথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। আরও দুটি লঞ্চ নানা কারণে চলতে পারেনি। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের সময় ও ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া এবং ঝুঁকি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের বাইরে লঞ্চ স্পিডবোট চালানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লৌহজং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইলিয়াস শিকদার বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশ, নৌ পুলিশ, লৌহজং থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড, সিভিল ডিফেন্স ও আনসার সদস্যরা থাকছে।


More News Of This Category