এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম: লিগ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই, সামনে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তাই অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে প্রথম সারির কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়ে দল মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিয়ালকে হারিয়ে দিয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে রিয়ালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাথলেটিকো। পুরো ম্যাচ জুড়ে দাপুটে ছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান গড়ে দেন ইয়ানিক কারাসকো। শুরুর একাদশে করিম বেনজেমা, ভিনিসিউস জুনিয়র, থিবো কোর্তোয়া, লুকা মদ্রিচদের অনেককেই রাখেননি রিয়াল কোচ আনচেলত্তি। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে খেলায়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে সফরকারীদের চেপে ধরে অ্যাথলেটিকো। চতুর্থ মিনিটেই প্রথম সুযোগ পেয়ে যায় তারা। তবে আনহেল কোরেয়ার শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে বেঁচে যায় রিয়াল। আর রিয়াল প্রথম গোলের জন্য শট নিতে পারে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে। রদ্রিগোর শট ফেরাতে কোনো সমস্যাই হয়নি ইয়ান ওবলাকের। ৪০তম মিনিটে এক বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে আসে ম্যাচের একমাত্র গোল। বক্সের ভেতর অ্যাথলেটিকোর স্ট্রাইকার মাতেউস কুনিয়াকে ফাউল করে বসে হেসুস ভায়েহো। ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। আর স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি অ্যাথলেটিকোর উইঙ্গার কারাসকো। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নেয় রিয়াল। তবে এই অর্ধেও প্রথম ভালো সুযোগটা পায় অ্যাথলেটিকোই। ৫৭তম মিনিটে একটুর জন্য অঁতোয়ান গ্রিজমান লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট। ৬০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন কারাসকো। ডি বক্স থেকে তিনি মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। তিন মিনিট পর কুইয়ার ব্যর্থতায় নষ্ট হয় আরেকটি সুযোগ। গ্রিজমানের থেকে বল পেয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ তিনি শট নেন অনেকটা গোলরক্ষক বরাবর। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে স্বাগতিকরা। ৭৩ ও ৭৬তম মিনিটে দুইবার পেনাল্টে স্পটের কাছাকাছি জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি গ্রিজমান। ৭৭তম মিনিটে কারাসকোর শট পোস্টের লেগে ফিরে এলে নষ্ট হয় আরেকটি সুযোগ। শেষ মুহূর্তে মার্কো আসেনসিওর ফ্রি কিক ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন ওবলাক। এই হারে রিয়ালের লাভ-ক্ষতির হিসাব গৌণ, কেননা আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে মাদ্রিদের দলটি। তবে জয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানটা আপাতত পাকাপোক্ত করতে পেরেছে অ্যাথলেটিকো। ৩৫ ম্যাচ খেলে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল বেতিসের চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে গেল তারা। ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে বার্সেলোনা। তিনে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৬৪