,

কুমিল্লায় মোস্তাক-কনক দম্পতির শখের ফল বাগানে দর্শনার্থীর ভীড়

(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ) : জেলার দাউদকান্দির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন হাসানপুর ডিগ্রি কলেজের অদূরে এক দম্পতির করা শখের ফলের বাগান দেখতে এখন ভীড় করছেন দর্শনার্থীরা। মোস্তাক মিয়া ও মাহমুদা হায়দার চৌধুরী কনক দম্পতি এই দৃিষ্টনন্দন বাগান গড়ে তোলেন।  এখন ওই বাগানে ঝুলছে ১০ জাতের আম। বিভিন্ন রঙ আর আকৃতির আম দেখে মুগ্ধ স্থানীয়রা। আমগুলোর নামও বিচিত্র। ব্রুনাই কিং, কিউ জাই, বানানা, থাই পেয়ারা, ডক মাই, কাটিমন। আরো রয়েছে আ¤্রপালি, বারি-০৪, হাড়ি ভাঙ্গা ও ফজলি।  সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর ডিগ্রি কলেজ। কলেজের পাশ ঘেঁষে একটি সড়ক গ্রামে প্রবেশ করেছে। অল্প সামনে গেলেই সড়কের পূর্ব পাশে আম বাগানটি। আমের ভারে ডাল ভেঙে পড়ার উপক্রম। বাগানের বিশ্রাম কক্ষের সামনে, পুকুর পাড়ে আমের সমারোহ। যেন আমের মেলা বসেছে। হাঁটতে গেলে মাথায় লাগে আমের থোকা। বাতাসে দোল খেতে দেখা যায় বর্ণিল সব আম। কনক বাসসকে বলেন, পারিবারিক জায়গায় শখের বশে আম বাগান করেছি। এখানে দুই একর জমি। দুই শতাধিক আম গাছ রয়েছে। বিভিন্ন নার্সারি, অনলাইন ও কৃষি বিভাগ থেকে চারা সংগ্রহ করি। ২০১৮ সালে গাছ লাগাই। ২১ সাল থেকে ফল আসছে। ভালো ফল পেয়েছি। ফল স্বজনদের মাঝে বিতরণ করেছি। সামনে হয়তো বাণিজ্যিক চিন্তা করবো।
দর্শনার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, এখানে ব্যতিক্রম জাতের আমের চাষ হয় শুনে দেখতে এসেছি। এসে ভালো লাগলো। চোখ ফেরানো যায় না। এটা যেন আমের রাজ্য।ম দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বাসসকে বলেন, উপজেলায় পরিবার কেন্দ্রিক ফলের চাষ বাড়ছে। এটি উপজেলার বড় বাগান। আমরা বিভিন্ন সময় তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।


More News Of This Category