ঝালকাঠি, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বহুল কাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে স্বপ্নযাত্রার সূচনা করেন। আজ রোববার সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার উন্মুক্ত করা হয়। স্বপ্নের সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাওয়ার সময় এক প্রতিক্রিয়ায় মাইক্রোবাসের যাত্রী সোয়েবুল ইসলাম বললেন, মাত্র চার ঘন্টায় ঢাকা থেকে ঝালকাঠি পৌঁছাবো এটাতো কল্পনাতীত,এত অল্প সময়ে সেতু পাড়ি দিয়ে ঝালকাঠি আসতে পারবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি।
মাইক্রোবাসের চালক এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কমকে বলেন, ‘আগে যখন আমরা গাড়ী নিয়ে ঝালকাঠি আসতাম তখন ফেরীঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম অনেক সময় নষ্ট হতো, এখন সময় নষ্ট হবে না। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে অনেক আনন্দ পেয়েছি। স্বপ্নের এই সেতুর কারণে আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছি। মানবতার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
মাইক্রোবাসের যাত্রী এডভোকেট শাহীন আহসানের স্ত্রী সাবিহা আহসান পুতুল বলেন,‘আমরা আগে লঞ্চে যাতায়াত করতাম, সারারাত লঞ্চে ঘুমিয়ে থাকতাম ভোরবেলা ঝালকাঠি ঘাটে নামতাম। আর এখন ভোরে নাস্তা খেয়ে গাড়ীতে উঠলাম দুপুরে বাড়িতে গিয়ে ভাত খেতে পারবো । পদ্মা সেতুর কারণে আমরা দক্ষিণের মানুষ অনেক উপকৃত হবো।
আইনজীবী শাহীন আহসান মনিরের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে। মাঝে মধ্যেই তিনি ঢাকা থেকে পৈত্রিক বাড়িতে আসতেন লঞ্চ বা বাসযোগে ।সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে চেপে পরদিন ভোরে ঝালকাঠি নামতেন। কখনও কুয়াশা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝালকাঠি পৌছতে সকাল ১০টা কিংবা ১১ টা বেজে যেতো। বাসে আসার সময় কখনও মাওয়া ঘাটে বা কখনও আরিচা-দৌলতদিয়া ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা দুর্ভোগের শিকার হয়ে অপেক্ষা করতে হতো।
আজ তিনি (এডভোকেট শাহীন আহসান) ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসতে পেরে দারুন খুশি।
আজ দুপুরে ঝালকাঠি পেট্রোলপাম্প মোড় অতিক্রমকালে শাহীন আহসান মনির বলেন,‘ ছোটবেলা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করি, স্বপ্নেও ভাবিনি প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর সেতু হবে এবং সেই সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসা-যাওয়া করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তের কারণে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আজ সাড়ে পাঁচঘন্টায় ঝালকাঠি পৌঁছলাম। তিনি বলেন,‘এটা অভাবনীয় সাফল্য, এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী বাঙালির হৃদয়ে হাজার বছর বেঁচে থাকবেন। ’