(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ) : ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখোরিত এখন জেলার পশুর হাটবাজার গুলো। জেলায় এবার কোরবানীন জন্য এক লাখ ৩০ হাজার ২৫০টি পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হলেও মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬০ টি গবাদি পশু । হাটবাজারের পাশাপাশি এবার অনলাইনেও কোরবানীর পশু কেনা বেচা হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করা হবে আগমী ১০ জুলাই।
জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্র এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম’কে জানায়, জয়পুরহাট জেলায় ছোট বড় মিলে জেলায় ১২ হাজার ৬৮৪ টি পশুর খামার রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলায় এক লাখ ৩০ হাজার ২৫০টি পশু কোরবানী হবে এমন টার্গেট নির্ধারণ করা হলেও খামারে বর্তমানে পশু মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬০টি । এরমধ্যে রয়েছে ষাঁড় রয়েছে ৩০ হাজার ৪৭৫ টি, বলদ রয়েছে ১৫ হাজার ১৪টি, গাভী রয়েছে ২৫ হাজার ৬৬৩টি, মহিষ ২০৪ টি, ছাগল ৮২ হাজার ৩৪ টি ও ভেড়া রয়েছে ২৫ হাজার ২৭০টি। যা দিয়ে জেলার কোরবাানীর চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৫০ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পশু কেনা বেচার হাটবাজার ছাড়াও এবার অনলাইনে বেশ পশু কেনা বেচা হচ্ছে বলে জানান, অরণ্য এগেস্খা’র মালিক সাদমান আলিফ মিম জয়। সাদমান চলতি বছরে প্রাণিসম্পদ বিভাগে জাতীয় পর্যায়ে ডেনরি আইকন/২০২২ নির্বাচিত হয়েছেন। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এবার ৬ টি প্রতিষ্ঠান পশু কেনা বেচা করছেন এবং এতে বেশ সারা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারের প্রণোদনা সহায়তায় তা কাটিয়ে ওাা সম্ভব হয়েছে। খামার গুলোতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটাতাজা করণ কর্মসূচির আওতায় পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে। ছোট বড় মিলে জেলায় ২২ টি পশুর হাট রয়েছ যে হাট গুলোতে বেচা কেনা জমে উঠেছে। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের তত্ববধানে ৬ টি অনলাইন প্লাট ফর্মের মাধ্যমে পশু কেনা বেচার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্রামীণ পর্যায়ে গরু-ছাগলের খামার তৈরিতে সরকারের নানামূখী আয় বর্ধন মূলক কর্মসচি বাস্তবায়নের ফলে সাধারণ মানুষ এখন অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন গরু-ছাগলের খামার করে। স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূিচর আওতায় এবার ৯০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ঢাকাতে গরু- ছাগল বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান, সহকারি পরিচালক ( প্রাণি সম্পদ বিভাগ) ওবাইদুল ইসলাম। পশুর হাটে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরুর পাইকার স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় হাটের পাশাপাশি গ্রামে ঘুরে ঘুরে কোরবানীর পশু কিনছেন বলে জানান, জেলা খামার মালিক সমিতির সভাপতি শাদমান আলিফ মিম রায়হান জয়। এবার ছোট ও মাঝারী সাইজের গরুর চাহিদা বেশী কিন্তু বড় জাতের ফ্রিজিয়ান গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় খামারীরা বলেও জানান তিনি। জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বনখুর গ্রামের শাদমান আলিফ মিম রায়হানের ’অরণ্য এগ্রো’ খামার ঘুরে দেখা যায় সেখানে ২০ টি গরু রয়েছে কোরবানির উপযুক্ত। এখানে প্রতিটি গরু সর্ব্বোচ্চ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার গরু কেনা বেচা হচ্ছে। গত বছর কালাপাহাড় নামে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু ওজন ছিল প্রায় ৯৮৬ কেজি। বিক্রি হয়েিেছল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি। হাটবাজারের পাশাপাশি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে কোরবানীর পশু কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা পশুর হাট ছাড়াও গ্রামে ঘুরে পছন্দ মতো পশু কিনছেন বলে জানান, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহফুজুর রহমান। স্বাস্থ্য সম্মত পশু কেনা বেচার জন্য ১০ টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে জেলার কোরবানীর পশুর হাটবাজার গুলোতে বলেও জানান তিনি।