“ফাতেমা শবনম”
এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম: মানসিক প্রতিবন্ধী কুলসুম। তাই বিয়ের পর স্বামী তাকে ত্যাগ করে। স্বামী পরিত্যক্তা কুলসুম ১৪/১৫ বছর ধরে বাপের বাড়িতেই বসবাস করেন। পাশের বাড়ির ঘর জামাই উসমান আলী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারী ও তার পরিবার জানতে পারে সে অন্তঃসত্তা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে, উসমানের পরিবার ৭ মাসের বাচ্চাটি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া ১ম খন্ড গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ভোক্তভোগি ওই নারী। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানিহারী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া ১ম খন্ড গ্রামের ছফির উদ্দিনের মেয়ে কুলসুম আক্তার ছোট বেলা থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। ১৪/১৫ বছর আগে কুলসুমের বিয়ে হলেও টিকেনি সংসার। এরপর থেকে স্বামী পরিত্যক্তা কুলসুম বাপের বাড়িতেই বসবাস করছেন। ওই মানসিক প্রতিবন্ধী কুলসুমকে পাশের বাড়ির ঘর জামাই উসমান আলী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন কুলসুম। পরে তার পরিবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে, জানতে পারে সে অন্তঃসত্তা। কিভাবে কি হলো তা জানতে চাইলে, কুলসুম তার পরিবারকে সবকিছু খুলে বলেন। কুলসুমের অসহায় বাবা ছফির উদ্দিন চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে, উসমানের পরিবার অর্থ সম্পদের লোভ দেখিয়ে ৭ মাসের বাচ্চাটি নষ্ট করতে কুলসুমের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। তাতে রাজী না হওয়ায়, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পরে ওই ঘটনায় গত ৬ জুলাই ‚ভোক্তভোগি ওই নারী বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ছফির উদ্দিন বলেন, এলাকায় মুখ দেখাতেও লজ্জা লাগে। এখন আমি আমার এই প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় আছি। মরা ছাড়া কোন পথ দেখছি না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে উসমান আলীর বাড়িতে গেলে, ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানান, টাকা দিয়ে সুরাহার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উসমান তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এ ব্যাপারে কানিহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ মাস্টার জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়ে, ওই পরিবারকে আমি বলেছি মেয়েটিকে গ্রহন করতে। ৭ মাসের অন্তঃসত্তার জন্য যে দায়ি, তাকেই দায়ভার নিতে হবে। ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।