এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম : জেলার হাটবাজার গুলোতে চাল ডালসহ সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে । মরিচ এখনও ২২০ টাকা কেজি থেকে কমে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা যায়, অতি বৃষ্টির কারণে এ সময় বাজারে সবজির আমদানী কমে যায়। ফলে দাম একটু চড়া থাকে । বর্তমান বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে ২২০ টাকা থেকে কমে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। জেলা শহরের নতুনহাট, পূর্ব বাজার, মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবজির দাম ২/১ টাকা করে কমতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা জানান, বাজারে আমদানী কম হওয়ায় দাম একটু বেড়েছিল। বর্তমান বাজারে করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, বারো মাসি সজনা ১০০ টাকা কেজি, পটল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, বেগুণ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মূখি কচুর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি , ওল কচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, আলু প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ প্রকার ভেদে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা ও মূলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। চালের বাজারও বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে মোটা চাল বর্তমানে কেজি প্রতি ২/১ টাকা কমেছে। কাটারী প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকা কেজি, জিরাশাইল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, স্বর্ণা-৫ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং বিআর-২৮ ও ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, স্থানীয় মামুন জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি। মাছবাজারের রাকিব চাল ঘরের মালিক চাল ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলেন, খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি ও টিসিবির পণ্য সরবরাহ থাকায় শাকসবজিসহ চালের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে বর্তমানে। জেলা শহরের মাছ বাজারের নিত্য প্রয়েজনীয় পণ্য বিক্রেতা মাহফুজুল হক, শাহীন ও বিপ্লব জানান, টিসিবি’র পণ্যের সঙ্গে ওএমএস চালু থাকায় সব কিছুর বাজার মূল্য কিছুটা হলেও স্থিি তশীল রয়েছে। অপরদিকে, ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মাছ প্রকার ভেদে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, সোনালী মুরগী ২৮০ টাকা ও বয়লার মুরগী ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বৃষ্টিতে ফলে সবজি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বাজারে আমদানী কমে যাওয়ায় দামটা বাড়ে। জেলার কৃষকরা অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের ফসল চাষ করে থাকেন। এবারও আগাম সবজি চাষ শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬শ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়েছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম। নতুন সবজি ওঠা শুরু হলেই বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।