এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম : রেলওয়ের টিকেটিং পার্টনার সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি গত ৪ মাসে প্রায় ১ কোটি টিকিট ইস্যু করার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অনলাইন ও কাউন্টার মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখের অধিক টিকেট নিয়মিত ইস্যু করছে প্রতিষ্টানটি। চলতি বছরের ২৫ মার্চ থেকে রেলের টিকিট ইস্যু শুরু করে টিকেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত স্বল্প সময়ের মধ্যে কাউন্টার প্যানেল সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঐ দিন ৭৭টি ষ্টেশন কাউন্টার থেকে একযোগে টিকিট ইস্যুর সূচনা করে নতুন এই ভেন্ডর। এবার ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা দুই ঈদে সহজ জেভি’র পরিচালনায় ১৬ লাখের অধিক টিকিট ওয়েবসাইট ও নতুন রেল সেবা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়েছে এবং গত ৪ মাস যাবৎ নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে সহজ জেভি। যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ওয়েবসাইট ও ‘রেল সেবা’ অ্যাপের ন্যাভিগেশন বারে সংযুক্ত করা হয়েছে নানান ধরনের ফিচার। ‘ভ্যারিফাই টিকেট’ ফিচার থেকে সহজেই টিকেট ভ্যারিফাই করার সুবিধা রাখা রয়েছে। এ ছাড়া ‘মাই টিকেটস’ ফিচারের মাধ্যমে ৭ দিন পর্যন্ত পুরাতন ও আসন্ন ট্রিপ ডিটেইলস দেখা যায়। যাত্রীরা প্রয়োজনে ‘মাই অ্যাকাউন্টস’ ফিচারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সময় নিজের দেয়া তথ্য ও পাসওয়ার্ড আপডেট করে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে সহজ এর জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ বলেন, ’রেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে আরও উন্নত, স্বয়ংক্রিয় ও অত্যাধুনিক ফিচার সম্বলিত ডিজিটাল টিকিটিং সেবা দেয়ার লক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই সময়ে ডেভেলপমেন্টের পুরো কাজ শেষ হয়ে গেলে যাত্রীরা টিকেট কাটার ক্ষেত্রে এখনকার তুলনায় আরও বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। আগে ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৮১টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্রেন রয়েছে ৬টি। মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়ে থাকে।