রামোন সানচেজ পিজুয়ান স্টেডিয়ামে২২ বছর বয়সী হালান্ড প্রথমার্ধে এক গোল করেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে করেছেন আরো এক গোল। ফোডেনের গোলে সিটির ব্যবধান দ্বিগুন হয়। ইনজুরি টাইমে দিয়াসের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় সফরকারীদের।
এর আগে গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে হলে শুধুমাত্র হালান্ডের উপর ভরসা করলে চলবে না। কিন্তু বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ৫১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে দলে ভিড়িয়ে সিটি যে ভুল করেনি তার আরো একবার প্রমান মাঠেই দিয়েছেন হালান্ড। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সাত ম্যাচে এনিয়ে ১২ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০ ম্যাচে হালান্ড এ পর্যন্ত করেছেন ২৫ গোল। এর মধ্যে সিটির হয়ে অভিষেকেই দুই গোল পেলেন। বাকি গোলগুলো এসেছে ডর্টমুন্ড ও রেড বুল সালজবার্গের হয়ে।
যদিও গার্দিওলা ইঙ্গিত দিয়েছেন হালান্ডকে নিয়ে সিটি এখনো সেরাটা খেলতে পারেনি। কারন কিছু কিছু ম্যাচে তার কাছ থেকে দ্রুত ফলাফল আশা করছে পুরো দল। এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘আজ প্রথমার্ধটা আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আমরা খুব দ্রুত আক্রমনে যাচ্ছিলাম। যেহেতু আর্লিং সেখানে আছে সে কারনেই আক্রমনগুলো খুব বেশী তাড়াহুরো করে হচ্ছিল। আক্রমনভাগে তাকে পেয়ে দলও যেন বদলে গেছে। আমাদের আরো বেশী ধৈর্য্যশীল হতে হবে। আমি এটা বলছি না তাকে দিয়ে খেলানোটা আমি পছন্দ করছি না। গোল করার দুর্দান্ত মানসিকতা তার মধ্যে রয়েছে। দুটি গোল করা ছাড়াও আরো দুই থেকে তিনটি গোলের সুযোগ সে তৈরী করেছিল। এভাবেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
শনিবার প্রিমিয়ার লিগে এ্যাস্টন ভিলার সাথে ড্র করার হতাশা থেকে বেরিয়ে আসাও ছিল সিটির সামনে চ্যালেঞ্জিং। এবারের আসরে গ্রুপ-জি’তে সিটির অপর প্রতিপক্ষ ডর্টমুন্ড ও এফসি কোপেনহেগেন। হালান্ড যদি এভাবে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারে তবে সিটির এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে বলেই অনেকে মত দিয়েছেন। কিন্তু এখনো অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটা শেষ পর্যন্ত ঘরে তোলাই মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে বেশ কয়েক বছর ধরে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে না পাওয়াটা ছিল দারুন হতাশার।
স্পেনেই গতবার সেমিফাইনালে রিয়ালের কছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল সিটিজেনদের। আর সেই স্পেনেই এবারের মিশন শুরু করাটা তাই সিটির জন্য ছিল কিছুটা আবেগের। বার্সেলোনার হয়ে ২০১১ সালে সর্বশেষ ইউরোপীয়ান শিরোপা জয় করেছিলেন গার্দিওলা। সেভিয়ার মাঠে কাল অবশ্য পুরো ম্যাচে খুব একটা বড় বিপড়ে পড়তে হয়নি গার্দিওলার শিষ্যদের। একের পর এক আক্রমনে উল্টো তারাই সেভিয়ার উপর চেপে বসে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ মিনিটে ডান দিক থেকে কেভিন ড্রি ব্রুইনার ক্রস থেকে পোস্টের খুব কাছ থেকে ভলির সাহায্যে বল জালে পাঠান হালান্ড।
এর মাধ্যমে ফার্নান্দো মোরিয়েন্টেস, জেভিয়ার সাভিওলা ও জøাটান ইব্রাহিমোভিচের পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে চারটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে অভিষেকে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন হালান্ড।
সেভিয়ার পাপু গোমেজ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৫৮ মিনিটে হুয়াও ক্যান্সেলোর এ্যাসিস্টে ১২ গজ দুর থেকে সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুকে বোকা বানান ফোডেন। ৬৭ মিনিটে হালান্ড নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। স্টপেজ টাইমে ক্যান্সেলোর ক্রস থেকে দিয়াস দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন।