“আলমাস হোসেন”
(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) :
সাভারের আশুলিয়ায় ব্যক্তিগত আক্রোশে মারুফ হোসেন নামে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বাসায় ডেকে বেদড়ক পেটালেন নাসির উদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আহত স্কুল ছাত্রের বাবা মোঃ সাইদুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার পশ্চিম ডেন্ডাবর এলাকায় ওই শিক্ষকের বাসায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এর তিনদিন পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলছাত্রের বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে নাসির উদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান তার ছোট ভাই মাহিনকে দিয়ে স্কুল ছাত্র মারুফ হোসেনকে বাসায় ডেকে নেয়। তার ছোট ভাই মাহিনের সাথে মারুফের মোবাইলে ম্যাসেজ আদান-প্রদান বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মাহবুব স্যার হাতে থাকা পাইপ দিয়ে মারুফকে বেধড়ক মারপিট করেন। এ সময় তার ছোট ভাই মনির মারুফের দুই হাত ধরে রাখে এবং মাহিন তাকে কিল-ঘুষ মারতে থাকে। পরে সে গুরুত্বর আহত হলে তাকে বাসা থেকে বের করে দেন এবং বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয় আহত স্কুল ছাত্রের বাবা মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, মাহবুব স্যার আমার ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করেন। আমি আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে এভাবে মারধরের সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ রকম কিছু হয়নি, এটা ছিল একটা ভুল বোঝাবুঝির ব্যাপার।সেটা নিয়ে আরকি দুই পক্ষ কথা বলতে রাজি হয়েছেন এবং আমার প্রধান শিক্ষক যিনি আছেন তিনি মনে হয় এটা নিয়ে বসবেন। ডেটও মনে হয় দুএকদিনের মধ্যে ফিক্সড হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওকে তেমনভাবে মারিনি যেমনভাবে আপনাকে দেখানো বা বুঝানো হয়েছে। এটা নিয়ে এখন কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। এটা প্রমাণ সাপেক্ষে এবং এটা নিয়ে সবাই বসতে চাচ্ছে। এ জন্য ব্যাপরটি স্কীপ করতে চাচ্ছি। আমি জাস্ট ওকে শাসন করেছি। কেন করেছি, কিভাবে করেছি সেই রিজন গুলো ওর বাবা-মা আসছিল, আমার প্রধান শিক্ষক ছিল তাদের সাথে কথা হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের বসার কথা ছিল। খুব শীগ্রই বসা হবে।’
এ বিষয় নাসির উদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি আমি জানি। এ বিষয়ে ছেলে বাবা-মার সাথে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আল মামুন কবির বলেন, সরেজমিনে গিয়ে মারদরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার বাদীর সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।