,

প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ

(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) :

রাত পোহালেই স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পৌঁছাবে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজেদের পরিচিত করে তুলে বাঙালী জাতী।

আগামীকাল কাল ২৬ মার্চ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আত্মত্যাগী শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবে সমগ্র জাতি। শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে  আলোক বাতি, সিডিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ায়।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। সৌধস্তম্ভের চূড়া থেকে শুরু করে শহীদ বেদি, পায়ে চলার সড়ক সবখানে ধুয়ে মুছে চকচকে করা হয়েছে।

প্রয়োজন মতো করা হয়েছে রঙ। সৌধের মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত হাটা পথে লাল ইটের মধ্যে সাদা রংয়ের ছোঁয়া ছড়াচ্ছে শুভ্রতা।

আরও দেখা গেছে, চত্বরজুড়ে শোভা পাচ্ছে লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সাদাসহ বিভিন্ন রঙের, বর্ণের ফুলের গাছ। এসব গাছে ফুটে আছে রঙিন ফুল।

সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে এসব গাছেরও। পুরো জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভেতর ও বাইরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় তাদেরকে দেয়া হবে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, বিদেশী কুটনৈতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন।

গণপূর্ত বিভাগের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস ঘিরে বিগত এক মাস ধরেই আমরা স্মৃতিসৌধ এলাকায় কাজ করছি।

এজন্য গত ১২ মার্চ থেকে সৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধোয়ামোছা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে সৌধ এলাকাকে ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

রাতের বেলার জন্য লাল-সবুজ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত আছে।

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া স্পীকার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনৈতিক,

রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে সৌধ এলাকা।

নিরপত্তার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে সৌধ এলাকা। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশসহ অইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সৌধ এলাকায় জড়ো হচ্ছেন।

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে সৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভির পাশাপাশি বসানো হয়েছে অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এই দিবসকে ঘিরে স্মৃতিসৌধের আয়োজন ঘিরে আমরা এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছি।

এখানে চার স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য শুধু স্মৃতিসৌধ নয় সাভার ও আশুলিয়া এলাকা আমরা সিসিটিভির আওতায় আমরা রেখেছি। এর বাইরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এছাড়া স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের নতুন করে কাউকে বাড়িতে আশ্রয় দিতে নিষেধ করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজন আসার ক্ষেত্রেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।


More News Of This Category