শরীয়তপুর প্রতিনিধি, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : গর্বের পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ২৪ দিন পর আজ ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো একটি সফল রাষ্ট্র নায়কের মাইল ফলক অর্জন করলেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ স্বস্তিতে স্বজনদের সাথে ঈদ উৎসবে পরিবারের সাথে যোগ দিতে রওয়ানা হয়েছেন। বাইকাররাও অত্যন্ত সুশৃঙ্খলার সাথে স্বপ্ন যাত্রার মধ্যদিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারী পুরুষ আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সাথে ছুটে চলেছেন গন্তব্যের পথে।
উল্লেখ্য ২০২২ সালে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দুইদিনের মাথায় মোটর সাইকেল চালকদের বেপরোয়া আচরণের কারনে ২৭ জুন সেতু কর্তৃপক্ষ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেতুর উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাইকারদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদকে সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে সেতুর উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চলাচলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে ঝামেলামুক্তভাবে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের সুযোগ তৈরি করে দেয়ায় পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের ২১ জেলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলি আহমেদ তার আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের বাইকারদের কিছু ভুলের কারনে আমাদের স্বপ্নযাত্রা এতোদিন থেমে ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারনে সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজ আমরা গর্বের ও স্বপ্নের পদ্মা সেতু মোটরসাইকেল যোগে অতিক্রম করলাম। এ যে কি আনন্দের ও গর্বের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করছি।
বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলার ধানডোবা বাজারের ব্যবসায়ী সরদার আব্দুস সালাম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ভেবেছিলাম নানা ষড়যন্ত্রে হয়তো মোটর সাইকেল নিয়ে স্বপ্নযাত্রায় যাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে, মানুষের সুবিধা নিশ্চিতে কোন ষড়যন্ত্রকেই পাত্তা দেন না এটি তারই জ¦লন্ত প্রমাণ।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বাসস’কে বলেন, বাইকারদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী ঈদকে সামনে রেখে যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা ঈদের খুশিকেও ছাড়িয়ে গেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সিদ্ধান্তের কারনেই। তবে আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পদ্মা সেতু পারাপারের সময় যেন মোটর সাইকেল চালকগণও এই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মূল্য দেয়। একই সাথে পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপারের পর বাইকারদের শৃঙ্খলার সাথে বাড়ি যাত্রাকে নিরাপদ করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেগণ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রত্যাশা প্রতিটি ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে বাড়ি পৌছে পরিবারের সাতে খুশির ঈদ উদযাপন করবেন।