আশুলিয়া প্রতিনি, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪,কম) :
বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়টি চেখে পড়ে নি। যদি এমন কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি নিজে বিভিন্ন জায়গা ভিজিট করেছি। বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আমার চোখে পড়ে নি। সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ যদি এমন কোন অভিযোগ পান তাহলে আমাদের জানাবেন। যাত্রী সাধারনের যাত্রা সুগম করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কর্মমুখী মানুষেরা গ্রামে গেলে ফাঁকা হবে শিল্পাঞ্চল। এমন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, জেলা পুলিশের ইউনিট গুলো এখানে অ্যাক্টিভ থাকব। আমরা সবাই মিলে কিন্তু আমাদের দায়িত্ব পালন করবো। তাদেরকে সহযোগিতা করবো, তাদেরকে আমরা অনুরোধ করবো কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আপনারা ৯৯৯ এ কল করবেন। আমরা সেখানে সাথে সাথে পৌছে যাবো।
তিনি আরও বলেন, গতকাল আমি সদরঘাট টার্মিনাল গিয়েছি, বাস টার্মিনাল ভিজিট করেছি, রেল স্টেশনে ভিজিট করেছি। আজকেও আমরা সব সিনিয়র অফিসাররা মিলে গাজিপুর চৌরাস্তা, চন্দ্রা মোড় ভিজিট করে এখানে এসেছি। এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি সড়কে যানজট সৃষ্টি হয় নি এবং স্বাভাবিকভাবে গাড়ি যাতায়াত করছে। আজকে একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের চাপের জন্যও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, চন্দ্রাতে আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে কি অবস্থা ছিল? এখন অনেক বাইপাস হয়েছে, ওভারপাস হয়েছে যার কারনে মুভমেন্টটা অনেক সহজ হয়েছে। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মা সেতু করেছেন। যার কারনে আমাদের দক্ষীনাঞ্চলের মানুষ পদ্মাসেতু দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের কারনে তাদের যাত্রা সুগম হয়েছে। আগামীতে আরও হবে।
এখন পর্যন্ত আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি জেলা পুলিশ, মেট্টপোলিটিন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট, এপিবিএন আছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান আছে আনসার সদস্যরা আছে এছাড়া পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে। আমাদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন।
সারা দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। নিরবচ্ছিন্নভাবে সাংবাদিক বন্ধুগণ আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা সড়ক ও জনপথের সহযোগিতা পাচ্ছি, মালিক শ্রমিকের সহযোগিতা পাচ্ছি। যার কারনে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবারের ঈদ যাত্রা সহজ হবে এবং সাচ্ছন্দ্যে যার যার গন্তব্যে গমন করতে পারবে। আরেকটি কথা বলতে চাই যাত্রীরা গন্তব্যে পৌছার পরে সেখানে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেসব জায়গাতেও আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা থাকবে।
পর্যটন স্পটগুলোতে ভীড়ের দিকে লক্ষ রেখে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। মোটকথা আমরা সবাই মিলে ঈদে যে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে ব্যবস্থা রেখেছি।
যাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যাত্রী সাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি গাড়িতে উঠে আপনারা নিকটস্থ কারও কাছ থেকে আহার গ্রহণ করবেন না। আমরা অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ বিভন্ন গ্রুপকে ধরেছি। আমরা একটা উৎসব পালনের জন্য যাচ্ছি, যদি সতর্ক থাকি তাহলে উৎসবটা আনন্দের সাথে পালন করতে পারবো। আমরা নিজের ভুলের জন্য উৎসবের আনন্দটা মাটি করে দিতে পারি না।
এসময় ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএমসহ ঢাকা জেলা পুলিশের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।