সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসকে সামনে রেখে নিহতদের স্মরনে মোমবাতি প্রজ্জলনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসুচি পালিত হয়েছে। আগামীকাল ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১০ বছর পূর্ণ হবে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে মোমবাতি জালিয়ে নিহতদের স্মরন করে তাদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এসময় রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত শ্রমিক ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের জন্য চারদফা দাবী জানান বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। দাবীগুলো হলো- শ্রমিকের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, রানা প্লাজার জমিটা বাজেয়াপ্ত করে হতাহত শ্রমিকদের স্থায়ী পুনর্বাসন, বিনামুল্যে আজীবন চিকিৎসা ও রানা প্লাজার মালিকের দ্রুত বিচার।
এদিকে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দশ বছর পূর্ণ হলেও এখনও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিক নেতারা। তারা এই দুর্ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দ্রুত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া এই দিবসটিকে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণার দাবী জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন কর্মসুচিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু, , বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু ব্যাপারীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা ভবন ধসে প্রায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।