,

তেল ও চিনি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা : বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাজারে তেল ও চিনি সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কি-না সেটি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকি করছে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্থাটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার ভাবনায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম সেমিনারের আয়োজন করে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। যদি দাম না কমে তাহলে তারা ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা করোনা মহাসংকটে টিকা ক্রয়ের জন্য অগ্রীম টাকা প্রদান করে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খাদ্য সংকট এড়াতে এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেজন্য ফসল উৎপাদনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানসহ প্রধানমন্ত্রী যেসকল নির্দেশনা প্রদান করেছেন বা করছেন এবং সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন তা একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মত একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী পাওয়ায় আমরা সত্যিই ভাগ্যবান। তাঁর প্রতিটি চিন্তা-চেতনা এবং গৃহীত সকল সিদ্ধান্তই স্মার্ট। যার ভিত্তি রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বুকে লালন ও ধারন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রেও স্মার্ট হওয়ার আবহান জানান।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা একবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বলেছিলেন আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় ভূমিতে যদি চা চাষ হয় তাহলে আমাদের ভূমিতে হবে না কেন! এরপর তাঁর নির্দেশে পঞ্চগড়সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে যে চা উৎপাদন হচ্ছে তা দেশের ১৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা তাঁর স্মার্টনেস এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল।
তিনি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর রপ্তানি নিয়ে যখন আমরা সবাই দিশেহারা তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন এতো ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া পদক্ষেপের কারণে রপ্তানির উপর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং পোশাক রপ্তানিতে দেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। তাঁর চিন্তা-চেতনার কারণে বিশ্বের এখন ১০টি গ্রীন ফ্যাক্টরির ৭ টি এবং শীর্ষ একশোটি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮ টি বাংলাদেশে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পন্নোত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হবে। এরপর ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা পেলেও কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


More News Of This Category