“মো,সোহাগ হাওলাদার”
(আশুলিয়া(সাভার) (এবিসি ওয়ার্ড নিউজ ২৪ ডটকম) :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও এর কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধনে অংশ নেয় ছাত্র-জনতা সহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন,আমি গত ২ তারিখে সাভার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে আহত হয়। আহত অবস্থায় আমি এখানে ভর্তি হই এবং চিকিৎসা নিই। আমার নিকট থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার বিল নেন নাই, আমি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেয়েছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহন কারী মোঃ রনি নামে এক ছাত্র বলেন আমরা একটি খবর পায় অত্র হাসপাতালে নাকি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা বেশ কয়েকজন ছাত্র আসি বিষয়টি জানার জন্য। কিন্তু এসে দেখে এখানে অনেক আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে, আমরা যে খবরটি পেয়েছিলাম তা আসলে ভিত্তিহীন ছিলো।
মানববন্ধনে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মাহাবুব জোবায়ের সোহাগ বলেন,
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে কিছু মানুষ অপপ্রচার করছে যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নাকি কোন সেবা প্রদান করা হয় নাই, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন । এটা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য কলংকে কালিমা একে দেওয়ার মত ।
এসময় তিনি বলেন, এটা হতেই পারে না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আহতদের সেবায় কর্মরত সকল ডাক্তার নার্স নিয়োজিত ছিল।এমনকি আমাদের এই সেবা চলমান রয়েছে ।
আমরা প্রায় আড়াইশত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণদের সেবা প্রদান করেছি। আন্দোলনে যেসকল আহত ছাত্র ছাত্রীদের চিকিৎসা করা হয় তার কোন অর্থ নেওয়া হয় নাই। আমাদের সেবায় এবং আমাদের টাকায় চিকিৎসা করা হয়েছে।এই ক্ষেত্রে আমাদের আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে।এটা আমাদের বলা ঠিক না,তারপরও আমরা অনুমান করে বলছি। অন্য প্রতিষ্ঠান হলে শূন্য একটি যোগ করে এক কোটি টাকা হিসাব দেখাত।আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ছিলাম আছি থাকবো । যারা আজকে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের প্রতি একটাই কথা বলতে চাই।অপপ্রচার সব সময় অপপ্রচার, মিথ্যা সব সময় মিথ্যা, যতদিন প্রমাণিত না হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রহমান শাহজাহান বলেন,এখানে আমাদের সমবেত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে যে আমরা কোটাবিরোধী যে আন্দোলনরত যে সমস্ত রোগী ও ছাত্রছাত্রী সহ যারা এসেছেন যে অবস্থায় এসেছে,তাদের চিকিৎসার ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি কুচুক্রি মহল বলতে চাচ্ছে যে এখানে কোন চিকিৎসা হয় নাই, চিকিৎসায় বাধা প্রদান করেছি, আমরা বলতে চাচ্ছি এখানে রোগী সহ আরো অনেক উপস্থিত আছেন।তাদের লিস্ট আছে, প্রত্যেক রোগীর ফলোআপ আছে, তারা কি অবস্থায় আছে কয়জন মারা গেছে, কয়জন রেফার করা হয়েছে,সব লিস্ট আছে।
কোটা বিরোধী আন্দলনরত যারা এখানে এসেছেন,সবাইকে সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদান করেছি এবং এই চিকিৎসা চলমান রয়েছে। ফ্রি চিকিৎসায় কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয় নাই।