ঢাকা,(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ ডটকম): জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মি. ফলকার তুর্ক বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ও অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বাংলাদেশের সামনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ীভাবে মোকাবিলা করা এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।হাইকমিশনার আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। এর আগে হাইকমিশনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় তরুণদের আঁকা দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি পরিদর্শন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর করতে হবে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক, শ্রমজীবী, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য মানবাধিকার রক্ষকদের নির্বিঘ্নে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য একটি উন্মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। বাংলাদেশের তরুণদের সংগ্রামের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণদের যাত্রাপথের সঙ্গী হতে ও সমর্থন করতে আমরা প্রস্তুত। তথ্য অনুসন্ধান বা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং উত্তরণের প্রক্রিয়াগুলোতে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করতে চাই।’উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত জুলাই-আগস্টের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে এই তদন্ত কমিটি জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদান করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্র আন্দোলনের ‘এপিসেন্টার’ হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এই আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যেতে চাই। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লব কর্ণার’ স্থাপন করা হবে। এই গণঅভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে একাডেমিক সম্মেলন ও কর্মশালা আয়োজন করা হবে। পরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।