(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বিএনপি ও জামাত জোট এদেশের জনগণ এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতিপক্ষ অপশক্তি। এরাই দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। এরাই দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আন্দরকিল্লা চত্বরে অনুষ্ঠিত আনন্দ র্যালি-পূর্ব বিশাল সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে যে অপশক্তিটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিরামহীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল শিখ-ী হচ্ছে বিএনপি নামক তথাকথিত রাজনৈতিক সংগঠনটি। এই দলটির জন্ম হয়েছে হত্যা, ক্যু, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা এবং সামরিক উর্দি পরে। অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করার পর উচ্ছিষ্ট বিলি-বণ্টনের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমন্বয় সাধন করে একটি জগাখিচুড়ি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে মাত্র। তিনি বলেন, এই দলটির মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম নেই। এরা বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতে বিশ্বাস করে না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, এমনকি বিরোধী দলের নেতাও বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি কার্যকর করলেও এখনো পর্যন্ত যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসিত করেছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি বলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লুণ্ঠিত মূল্যবোধ ও চেতনা পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাত ও ভোটের অধিকার। জনগণ মুক্তি পেয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের দুঃশাসন থেকে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালনা করেছিল, তাদের হাত থেকে দেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়ার পুত্র এবং পলাতক আসামি তারেক রহমান লন্ডনে বসে অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছে। মেয়েকে ব্যারিস্টারি পাস করিয়েছে। অথচ যুক্তরাজ্যে তারেক জিয়ার কোন বৈধ আয়-রুজি নেই। এই বিলাসিতা সম্ভব হয়েছে তারেক জিয়া দেশের একজন শীর্ষ অর্থ পাচারকারী হিসেবে সেখানে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে এবং মানি লন্ডারিং এর মামলায় দোষী সাব্যস্তও হয়েছে। অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হলে দেশ আপদমুক্ত হবে। তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠনের লক্ষ্য পূরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওতাধীন ৬ টি সংসদীয় আসনে তিনি যাকেই নৌকার প্রতীক দেবেন তাকেই বিজয়ী করতে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক ম-লীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দীন খান, নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের মো. হারুনুর রশিদ, সিদ্দিক আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমেদ। সমাবেশ-শেষে ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য বাজনাসহ একটি আনন্দ র্যালি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে আন্দরকিল্লা মোড় হয়ে বক্সিরহাট, লালদিঘি, কোতোয়ালী মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জিপিও, নিউ মার্কেট মোড় হয়ে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।