,

মোমেন ৩০ মে নয়াদিল্লিতে জেসিসি বৈঠকে যোগ দেবেন

(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ): পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম বৈঠক ৩০ মে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বলেছেন, আমি জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে ৩০ মে নয়াদিল্লি যাচ্ছি। এজেন্ডাগুলি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।” তিনি বলেন, দিল্লিতে জেসিসি বৈঠককালে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে পানি বণ্টনসহ সব দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ড. মোমেন আরো বলেন,”তারা (ভারত) আমাদের খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছে। আমরা সকল সমস্যা উত্থাপন করতে পারি।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তবে ঢাকা জেসিসির আগে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক করার চেষ্টা করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী গ্রুপ এবং কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ২৮-২৯ মে আয়োজিত নদী সম্মেলনে যোগ দিতে আসাম হয়ে দিল্লি যাবেন । তিনি বলেন,”আমরা সেই (নদী কনক্লেভে) যোগদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চারজন মন্ত্রী (জয়শঙ্কর সহ) এবং বিখ্যাত বিশেষজ্ঞরা সেখানে যোগ দেবেন (আন্ত:সীমান্ত নদী নিয়ে আলোচনা করার জন্য)।” এর আগে, এখানকার ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বৈঠক করেন এবং জেসিসি বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পরে বিক্রম দোরাইস্বামী মিডিয়াকে বলেন,”আমি দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং জেসিসি থেকে আমরা কী পরিকল্পনা ও ফলাফল পেতে পারি তা চিহ্নিত করতে এখানে পররাষ্ট্র সচিবের সাথে আলোচনা করতে এসেছি।” তিনি বলেন, জেসিসির অনেক স্ট্যান্ডার্ড এজেন্ডা রয়েছে যাতে বাণিজ্য ও যোগাযোগ, রাজনৈতিক, কনস্যুলার এবং সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তা উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দোরাইস্বামী বলেন, “সুতরাং, (প্রস্তুতিমূলক) কাজ চলছে, স্পষ্টতই আমরা আশা করি যে, আমরা এ মাসের শেষের দিকে জেসিসি থেকে ভাল ফলাফল ঘোষণা করতে পারব।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন নয়াদিল্লি সফর সম্পর্কে হাইকমিশনার বলেন, তারা এখন উভয় নেতার জন্য সুবিধাজনক দিন নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরো বলেন, আশা করি আমরা দ্রুত তারিখে নির্ধারণ করতে সক্ষম হব। পরে পররাষ্ট্র সচিব গণমাধ্যমকে জানান, ভারতীয় দূতের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জেসিসির সম্ভাব্য এজেন্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে কথা বলেছেন। সচিব বলেন, জেসিসি বৈঠকে ঢাকা আন্ত:সীমান্ত নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা ও সংযোগের বিষয়গুলো উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সকল রেল সংযোগ এবং ফ্লাইট আবার চালু করতে চাই।” ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ভার্চুয়াল ষষ্ঠ জেসিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।


More News Of This Category