,

স্বপ্নের পদ্মা সেতু :খুলনাঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতৃত্ব দেবে বিশিষ্টজনেরা মনে করেন

খুলনা, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ) :  আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি, রাত পোহালেই সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন স¦প্নের পদ্মা সেতু। খুলনাঞ্চলের বিশিষ্টজনদের বিশ^াস- পদ্মা সেতুর চালু হলেই এলাকার উন্নয়নের জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। তারা মনে করেন- খুলনাঞ্চলই এক সময় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে নেতৃত্ব দেবে।
এই মাহেন্দ্রক্ষণকে সামনে রেখে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন, দেশের শ্রেষ্ট অর্জনের নাম পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যাতায়াতের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এটি যেমন ঠিক সাথে-সাথে দেশের অর্থনীতিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। জাতীয়ভাবে দেশের জিডিপি দেড় থেকে দুই শতাংশ বাড়বে। সেই সাথে হবে দারিদ্র্য বিমোচনও।
তিনি বলেন- এটি শুধু যাতায়াতের একটি সেতু নয়, এটি বহুমুখী সেতু। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০ শতাংশ পণ্য রফতানি হলেও মোংলা থেকে হয় মাত্র ১০ শতাংশ। আর পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা থেকে রফতানি হবে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পণ্য। সেই সাথে মোংলা বন্দর থেকে গার্মেন্টস পণ্যও রফতানি হবে। যা এখন চট্টগ্রাম থেকে শতভাগ রফতানি হয়। এর ফলে মোংলা বন্দরে জাহাজ সংখ্যা বাড়বে।
এতোদিন বন্দরকে কেন্দ্র করেই চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে আসছিল। যেটি এখন মোংলা বন্দরকে কেন্দ্র করে খুলনাঞ্চলে হবে। ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। নতুন করে পরিকল্পনা নিয়ে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে বিপুল পরিমাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান। বাড়বে কর্মসংস্থান। যেটি দারিদ্র্য বিমোচনে অনেকটা সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগেই মোংলা বন্দরের জেটি সম্প্রসারণ কাজ চলছে, বন্দরের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনাও চলছে।
যে কোন উন্নয়নের জন্য তিনটি শর্তের কথা তুলে ধরে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, যোগাযোগ, জ¦ালানী ও আবাসন হলেই ওই এলাকার উন্নয়ন সম্ভব। পদ্মা সেতুর মধ্যদিয়ে যেমন যোগাযোগ নিশ্চিত হতে যাচ্ছে, তেমনি এর সাথে এ অঞ্চলের আরও অনেক সড়ক সম্প্রসারণ ও নতুন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। জ¦ালানীর ক্ষেত্রে রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে এবং গ্যাস লাইনও আসছে। আর পদ্মা সেতুকে ঘিরেই এ অঞ্চলে নতুন-নতুন পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের উন্নয়নে আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। বিশেষ করে খুলনাঞ্চলই এক সময় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে নেতৃত্ব দেবে।
দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ উচ্চ আদালতের সুফল ভোগ করবে উল্লেখ করে আইনজীবী সমিতির এ নেতা বলেন, পদ্মা নদীর বাঁধার কারণে আগে এ অঞ্চলের বিচার প্রত্যাশীদের এমনকি অনেক সময় আইনজীবীদেরও বিচার প্রত্যাশীদের সহযোগিতা দিতে ঢাকায় গিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। সেটির আর এখন প্রয়োজন হবে না। এখন দিনে দিনেই ঢাকায় গিয়ে আদালতের কাজ সেরে খুলনায় ফিরে আসা যাবে। অর্থাৎ শুধু যে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীরা সুবিধা পাবেন সেটি নয়, আইনজীবী ও বিচার প্রত্যাশীরাও পাবেন পদ্মা সেতুর সুফল।
খুলনা পানি সরবরাহ ও পয় নিস্কাশন (ওয়াসা) কর্তৃপক্ষের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সেলিম আহমেদ বাসসকে বলেছেন, স্বপ্নরে পদ্মা সতেু নর্মিাণরে ফলে খুলনা জলোসহ দক্ষণি-পশ্চমিাঞ্চলরে সকল জলো রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হব।ে দশেরে দুটি সমুদ্র বন্দর –“মোংলা ও পায়রা” বন্দররে সাথে রাজধানী থকেে চলাচল করা সহজ হব।ে ফলে সমুদ্রবন্দরগুলোর গতশিীলতা বৃদ্ধি পাব।ে রাজধানীসহ দশেরে বভিন্নি অঞ্চলরে ব্যবসায়ীদরে জন্য অল্প সময়রে মধ্যে আমদান-িরফতানি র্কাযক্রমে সম্ভাবনাময় দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হব।ে তাই পদ্মা বহুমুখী সতেু চালু হলে শল্পিায়ন ও বাণজ্যিকি র্কমকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে এবং র্অথনতৈকি র্কমসংস্থানরে মাধ্যমে খুলনাসহ দশেরে দক্ষণি-পশ্চমিাঞ্চলরে বসবাসরত মানুষরে জীবন মান বৃদ্ধি পাব।ে তাই অত্র এলাকার দারদ্র্যি বমিোচনে উচ্চ কারগিরি দক্ষতার স্বাক্ষর এই সতেুর ভূমকিা হবে অপরসিীম। তাছাড়া রাজধানীতে এসে জরুরি ও বশিষোয়তি চকিৎিসা সবো গ্রহণরে ক্ষত্রেে এই সতেু এক বশিষে ভূমকিা রাখব।ে উচ্চশক্ষিা গ্রহণরে মাধ্যমে শক্ষিার মান উন্নয়নওে পদ্মা সতেুর ভূমকিা হবে অনবদ্য।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, খুলনার সভাপতি হুমায়ুন কবির ববি বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, পদ্মা সেতুর চাহিদা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অনেক আগের। এমনকি রূপসা সেতুরও আগে থেকে চাহিদা ছিল পদ্মা সেতুর। আর পদ্মা সেতুর মতো এতো বিশাল কর্মযজ্ঞ নিজস্ব অর্থায়নে করা সম্ভব হবে এটি ছিল স্বপ্নেরও অতীত।
পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে ববি বলেন, এ অঞ্চলের সামুদ্রিক মাছ, কাঁচামাল, শাক সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। পাটসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও রাখবে ভূমিকা। এক কথায় খুলনা তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে। ঘটবে শিল্প বিপ্লব।


More News Of This Category