পিরোজপুর, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) :
বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কচাঁ নদীর উপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সোমবার মধ্যরাত থেকে সেতুটিতে যান চলাচল করতে পারবে।
রবিবার সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারন্সর মাধ্যমে ওই সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সকাল ১০ টায় গণভবন থেক ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এসময় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, এই সেতু দক্ষিনাঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অবহেলিত দক্ষিনাঞ্চল বাসীর উন্নয়নে সরকার একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলছে। এখন থেকে আমরা ঢাকায় বসে পিরোজপুরের তাজা তাজা পেয়ারা ও আমড়া খেতে পারবো। ভাষন শেষে প্রধানমন্ত্রী সেতুর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আনােয়ার হােসেন মঞ্জু এমপি, পিরোজপুুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, পিরােজপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক, সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। পিরোজপুর সদরের কুমিরমারা প্রান্তে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মােহাম্মদ জাহেদুর রহমান এবং বেকুটিয়া প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাউখালীর ইউএনও মােছা. খালেদা খাতুন রেখা।
৮ শত ৯৮ কাটি টাকা ব্যয় নির্মিত ৯৯৮ মিটার দীর্ঘ এই বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেতু উদ্বােধন উপলক্ষ্যে রবিবার সেতুর কুমিরমারা ও বেকুটিয়া দুই প্রান্তে ছিল অনুষ্ঠান। সেতু এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব।
বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেতুর দ্বার উন্মােচন করায় খুশি বরিশাল অঞ্চলের মানুষ। উদ্বােধনের পরপরই স্থানীয় হাজারাে জনতার ঢল নামে সেতুতে। এ সময় বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা।
পিরােজপুর জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন এখন বাস্তব। ফলে এই অঞ্চলে যান চলাচল যেমন বাড়বে তেমনি এই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সেতুটি সহায়ক হবে।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরাে গ্রুপ কােম্পানি লিমিটেড নির্মান কাজ শেষে চলতি বছরের ৭ আগস্ট ঢাকায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর উপস্থিতিতে চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্তান্তর করেন।