আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াও মো’কে তলব করা হয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে যে ঘটনাটি মোটেও উস্কানিমূলক নয় … এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং ভুলবশত গোলাগুলি সীমান্তের ভিতরে পড়েছে।’
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৩ সেপ্টেম্বর তারিখে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিপি ৪০ এবং বিপি ৪১ এর মধ্যে দুটি মর্টার শেল পড়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর এক বিবৃতিতে বলা হয়, তলব করার পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আরও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের কর্মকান্ড শান্তিপ্রিয় জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত চুক্তির লঙ্ঘন এবং সুপ্রতিবেশীসূলভ সম্পর্কের পরিপন্থী।
রাখাইন থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের কোনো অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্যও রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে তাদের মূল উৎস্য স্থলে একটি সুরক্ষিত, নিরাপদ এবং অনুকূল পরিবেশ অপরিহার্য বলেও জোর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মিয়াানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত এসব ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থান তার সদর দপ্তরে জানানোর আশ্বাস দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়াানমারের ভূখন্ড ব্যবহার করে মর্টার শেল পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে গত ২১ আগস্ট ও ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছিল এবং বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তার কাছে প্রতিবাদ নোট হস্তান্তর করা হয়েছিল।