ঢাকা, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭৭ সালে সামরিক বাহিনীতে সংঘটিত বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়ের জঘন্যতম অপরাধের ওপর মনোযোগ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মানবাধিকার কর্মকর্তা সোফিয়া মেউলেনব্রেগ ১৯৭৭ সালের নিহত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পারিবারের সদস্যদের নেটওয়ার্ক ‘মায়ের কান্না’র প্রতিনিধিদের এই আশ্বাস দেন।
এখানে প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহরের আমেরিকান ক্লাবে সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল আজ তার সাথে দেখা করে।
প্রতিনিধি দল সোফিয়ার কাছে এই সব হত্যকান্ড সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তর করে- যা স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর অসহায় সৈন্যদের সম্পর্কে প্রমাণ দেয়, যাদেরকে তথাকথিত মক ট্রায়ালের আগেই মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। অক্টোবরে তাদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছিল কিন্তু নথি অনুযায়ী তাদের দোষী সাব্যস্ত ও কারাগারে থাকার কথা জানিয়ে ডিসেম্বরে পরিবারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
সোফিয়া তার সঙ্গে দেখা করতে আসার জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রতিনিধি দলটি সোফিয়ার কাছে ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীতে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যার প্রাসঙ্গিক নথিপত্র হস্তান্তর করেন। তিনি ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানান।
মায়ের কান্না সদস্যরা বার বার চাপা পড়ে যাওয়া তাদের নিপীড়িত অশ্রুত কণ্ঠের ন্যায়বিচারের দাবি সম্ভব সব রকম উপায়ে এবং সব জায়গায় উত্থাপন করার জন্য মার্কিন সরকারকে অনুরোধ করে।
বৈঠকে মায়ের কান্নার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেনিন, বিলকিস চৌধুরী ও নেটওয়ার্কের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ১৯৭৭ নেটওয়ার্কের ভুক্তভোগীরা নথি গ্রহণ করা ও প্রতিনিধি দলের দুর্ভোগের কারণ শোনার জন্য মার্কিন দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। নেটওয়ার্কটি জানায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জঘন্য অপরাধের মাস্টারমাইন্ড এবং তারা আশংকা করছে যে বিএনপি ন্যায়বিচারের পথে প্রধান বাধা।