কুমিল্লা (দক্ষিণ), (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : জেলার ১৭ উপজেলার ১৬৭ টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পালা করে শিক্ষার্থীরা ওই ল্যাব ব্যবহার করছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের উদ্যোগে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাব খুলছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার জ্ঞান বাড়ছে। অনেকে আউটসোসিং, প্রোগ্রামিং শিখছে। কেউ ল্যাবে রোবট তৈরি করছে।
জানা গেছে, জেলার ১৭ উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৬৭ টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মুরাদনগর ও দেবীদ্বার উপজেলায় ২১ টি করে, চৌদ্দগ্রামে ১৩ টি, আদর্শ সদর উপজেলায় ১২ টি, দাউদকান্দি ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ১১ টি, বরুড়া ও বুড়িচংয়ে ১০ টি করে, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লালমাই উপজেলায় ৮টি, লাকসাম ও হোমনা উপজেলায় ৭টি করে, তিতাস উপজেলায় ৬টি, চান্দিনা ও সদর দক্ষিণে ৫টি ও মেঘনা উপজেলায় ৪টি ল্যাব রয়েছে। এতে ৯৫ শতাংশ ল্যাবকে পুরোপুরি সক্রিয় করা হয়। একই সঙ্গে ৫ শতাংশ ল্যাবের মান্নোয়নের জন্য কাজ করা হয়। ল্যাবগুলো সচল হওয়ার কারণে বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে উঠেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৮৫ টি ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বাসসকে বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে ল্যাব পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামারেরা। এরপর জেলা প্রশাসক ল্যাবগুলো সচল করার উদ্যোগ নেন। এখন প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে কম্পিউটার শিখছেন।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঁদপুর জনতা স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটি শিক্ষক পলাশ চন্দ্র মজুমদার বাসসকে বলেন, আমাদের ল্যাবে প্রতিদিন কাজ হচ্ছে। বরুড়া উপজেলার আমড়াতলি চেরাগ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে ল্যাব স্থাপন হওয়ায় আমরা প্রতিদিনই ল্যাব কাজ করতে পেরে প্রতিদিনই আমরা কিছু না কিছু নতুন বিষয়ে শিখছি।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলো পুরোপুরি সচল করার জন্য প্রথমে কুমিল্লা জেলার ২০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি শিক্ষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করি। পরবর্তীতে ১৭ টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামাররা এগুলো পরিদর্শন করেন। তাঁরা আমাকে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সমস্যা চিহ্নিত করে ল্যাবগুলো পুরোপুরি সচল করা হয়। এখন আমি কুমিল্লা বসে অ্যাপসের মাধ্যমে ল্যাবে কাজ হচ্ছে কিনা সেগুলো মনিটরিং করি। এতে করে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সুফল পাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হলে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। কুমিল্লা থেকে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চলমান রাখতে হবে। তবেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও এগুবে।