“আশরাফুল ইসলাম” ( এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় শিফটে প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়া) দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার ( ১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ ভবনে তৃতীয় শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় পরিদর্শকদের সন্দেহ হলে ৪০১ নম্বর রুম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত সোহেল রানা জানায় তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। তার পিতার নাম সোহাগ আলী এবং মাতার নাম আমেনা বেগম।
আটক হওয়া সোহেল নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছেন। তবে রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষকের নিকট তার তথ্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সোহেলকে তাদের ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস জানায়, নাজমুল হক নামে এক ভর্তিচ্ছুকের হয়ে প্রক্সি দিতে আসেন সোহেল। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। এরপর সন্দেহ হওয়ায় কর্তব্যরত শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন। পরে সোহেলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনসহ বেশ কজন নিরাপত্তা কর্মী জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন।
আটক সোহেল বলেন, নাজমুল হক তার ফুফাতো ভাই। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তিনি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নাজমুল হকের বড় ভাই ইমনের সাথে এ বিষয়ে তার চুক্তি হয়।
আটককৃত সোহেল গতকাল(১৮ জুন) অনুষ্ঠিত ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহন করেছে। পরে তার উত্তরপত্র বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।
প্রক্সির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান জানান,’ আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং সে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছে। কিন্ত সে নিজের সম্পর্কে যেসব তথ্য দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।তবে এখন আমরা তাকে নিজেদের জিম্মায় রেখেছি, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে৷ ভ্ৰাম্যমাণ আদালত তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সাথে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী নাজমুল হক এবং তার ভাই ইমনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।’